রেজাল্ট ভয়ংকর

আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রকদের প্রতি অনেক কথাই অনেকে বলেন। তবে এই ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য আমাদের নিজেদেরও কিছু উদ্যোগ নেয়া দরকার। প্রথমেই আমাদের নিজের মধ্যে একটা বিশ্বাস আর আদর্শ দৃঢ় করতে হবে যে, আমরা মোটেই চাকরির জন্য পড়বো না। আমরা পড়বো জানার জন্য, আমরা পড়বো নিজের কৌতুহুলকে মেটাবার জন্য। আমাদের জানতে হবে, আমরা কী করতে চাই। আমরা যা করতে চাই তা যদি আমরা প্রচন্ড ভালোবাসা আর অধ্যবসায় নিয়ে করতে পারি তবে ঐ কাজটায় আমরাই হবো দুনিয়ার সেরাদের একজন। জীবিকার চিন্তা যে করতে হবে না তা না। তবে ঐ জীবিকার পথটা যদি তোমার নিজেরই অপছন্দ হয়, তবে জেনে রেখো, তুমি আর যাই হও কখনোই সুখী হতে পারবে না।

Loading

বিষমিষ্টি

আমি ভাবছিলাম এই যে আমাদের সমাজ, হাইস্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীদেরকে যে এই রকম ‘ম্যাচিউর’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে ‘ম্যাচিউরটি’টা আসলে কেমন? এজন্যই কাকাড্ডার এই ম্যাগাজিনটির জন্য আমরা যখন লেখা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম তখন লেখার কোনো বাঁধাধরা ক্যাটাগরি রাখিনি। বলেছিলাম ইচ্ছে মতো লেখা দিতে। পেছনের কারণটা হলো, আমরা দেখতে চেয়েছিলাম পনেরো থেকে সতেরো বছর বয়সী ছেলে-মেয়েরা আসলে ভাবছেটা কি! ‘ম্যাচিউরিটি’ কিন্তু সত্যিই এসেছে। যারা লেখা দিয়েছে তাদের লেখাগুলো যদি অভিভাবকদের দেখানোর সুযোগ হতো তবেই তারা বুঝতে পারতেন যে, এই ‘ম্যাচিউর’ করে দেয়ার প্রক্রিয়াটা আসলে কতোটুকু যৌক্তিক! যে ছেলেটা জেএসসি পরীক্ষা দিয়ে ত্রিশ বছর বয়সী বেকার যুবকের ভাবনাটা ভেবে ফেলেছে, স্বপ্ন ভঙ্গের স্বাদ পেয়ে গেছে, সে যে ত্রিশ বছর বয়সী যুবকের আবেগের স্বাদ নিতে চাইবে না সে গ্যারান্টিকে দিতে পারে? দ্বায়িত্ব নেয়ার জন্য কাঁধটাকে চওড়া হতে দিন, দূর্বল কাঁধে হাজারো প্রত্যাশার বোঝা চাপিয়ে দিলে কেবল কাঁধটাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। মন, শরীর আর দ্বায়িত্ববোধ সবগুলো একসাথে বাড়তে দিতে হবে। জীবনের সব জটিলতা কেনো অতো ছোটো বয়সেই জেনে যেতে হবে?

Loading