ভাষা সৈনিক মোহাম্মদ সুলতান সড়ক, ধানমন্ডি, ঢাকা।

ভাষা সৈনিক মোহাম্মদ সুলতান সড়ক। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার অন্যান্য সড়কের মতো এই সড়কের মধ্যেও একটা স্নিগ্ধ ভাব আমি খুঁজে পাই।

Loading

প্রোফেসর শঙ্কু ও এলডোরাডো

সত্যজিৎ পুত্র সন্দীপ রায় সব সময়ই বলে আসছিলেন, তাঁর ড্রিম প্রজেক্ট হলো প্রোফেসর শঙ্কুকে নিয়ে সিনেমা করা। কিন্তু কল্প-বিজ্ঞানের কাহিনী নিয়ে সিনেমা করতে যে অবকাঠামো, মাল-মশলা দরকার সেটা বাংলা সিনেমার ইন্ডাস্ট্রিতে যোগাড়-যন্ত্র করা খুব কঠিন একটা ব্যাপার। তাছাড়া গ্রাফিক্স, স্পেশাল ইফেক্টসের মান সম্মত ব্যবহার না করা গেলে যে প্রোফেসর শঙ্কুর আবেদনে ভাটা পড়বে সেটার আর আলাদা করে বলার কিছু নেই।
এই ঝুঁকিটা নিয়েই সন্দীপ রায় এবারে নির্মাণ করছেন আইকনিক বাংলা কল্প-বিজ্ঞান চরিত্র প্রোফেসর শঙ্কুকে নিয়ে সিনেমা ‘প্রোফেসর শঙ্কু ও এলডোরাডো’। সিনেমায় শঙ্কু চরিত্রে অভিনয় করবেন ধৃতিমান চ্যাটার্জি। সন্দীপ রায় জানান, “প্রফেসর শঙ্কুর চরিত্রটি কেবলমাত্র এক বাঙালি বিজ্ঞানীর নয়, বরং অনেক বেশি গ্লোবাল। অনেকগুলো ভাষা, বিশেষত সাবলীল ভাবে ইংরেজি বলতে পারার সঙ্গে সঙ্গে, অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত চেহারার অধিকারী হওয়া জরুরি। ধৃতিমান সেই কারণেই এই চরিত্রের জন্য যথাযথ।”

Loading

রেজাল্ট ভয়ংকর

আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রকদের প্রতি অনেক কথাই অনেকে বলেন। তবে এই ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য আমাদের নিজেদেরও কিছু উদ্যোগ নেয়া দরকার। প্রথমেই আমাদের নিজের মধ্যে একটা বিশ্বাস আর আদর্শ দৃঢ় করতে হবে যে, আমরা মোটেই চাকরির জন্য পড়বো না। আমরা পড়বো জানার জন্য, আমরা পড়বো নিজের কৌতুহুলকে মেটাবার জন্য। আমাদের জানতে হবে, আমরা কী করতে চাই। আমরা যা করতে চাই তা যদি আমরা প্রচন্ড ভালোবাসা আর অধ্যবসায় নিয়ে করতে পারি তবে ঐ কাজটায় আমরাই হবো দুনিয়ার সেরাদের একজন। জীবিকার চিন্তা যে করতে হবে না তা না। তবে ঐ জীবিকার পথটা যদি তোমার নিজেরই অপছন্দ হয়, তবে জেনে রেখো, তুমি আর যাই হও কখনোই সুখী হতে পারবে না।

Loading

বিষমিষ্টি

আমি ভাবছিলাম এই যে আমাদের সমাজ, হাইস্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীদেরকে যে এই রকম ‘ম্যাচিউর’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে ‘ম্যাচিউরটি’টা আসলে কেমন? এজন্যই কাকাড্ডার এই ম্যাগাজিনটির জন্য আমরা যখন লেখা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম তখন লেখার কোনো বাঁধাধরা ক্যাটাগরি রাখিনি। বলেছিলাম ইচ্ছে মতো লেখা দিতে। পেছনের কারণটা হলো, আমরা দেখতে চেয়েছিলাম পনেরো থেকে সতেরো বছর বয়সী ছেলে-মেয়েরা আসলে ভাবছেটা কি! ‘ম্যাচিউরিটি’ কিন্তু সত্যিই এসেছে। যারা লেখা দিয়েছে তাদের লেখাগুলো যদি অভিভাবকদের দেখানোর সুযোগ হতো তবেই তারা বুঝতে পারতেন যে, এই ‘ম্যাচিউর’ করে দেয়ার প্রক্রিয়াটা আসলে কতোটুকু যৌক্তিক! যে ছেলেটা জেএসসি পরীক্ষা দিয়ে ত্রিশ বছর বয়সী বেকার যুবকের ভাবনাটা ভেবে ফেলেছে, স্বপ্ন ভঙ্গের স্বাদ পেয়ে গেছে, সে যে ত্রিশ বছর বয়সী যুবকের আবেগের স্বাদ নিতে চাইবে না সে গ্যারান্টিকে দিতে পারে? দ্বায়িত্ব নেয়ার জন্য কাঁধটাকে চওড়া হতে দিন, দূর্বল কাঁধে হাজারো প্রত্যাশার বোঝা চাপিয়ে দিলে কেবল কাঁধটাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। মন, শরীর আর দ্বায়িত্ববোধ সবগুলো একসাথে বাড়তে দিতে হবে। জীবনের সব জটিলতা কেনো অতো ছোটো বয়সেই জেনে যেতে হবে?

Loading

তথ্যের বাণিজ্য

এইসব তথ্য সর্টিং করে বিক্রি করে দেয়া হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে। ফেসবুকের এই তথ্য বাণিজ্যের কারণে আমরা ঠিক ওই জিনিস গুলোই আমাদের নিউজফিডে দেখতে পাই, যা আমরা দেখতে চাই বা যেসব বিষয় নিয়ে আমরা আগ্রহ বোধ করি। ফেসবুকে একটা ওয়েডিং গাউনের বিজ্ঞাপন কেবল একটা বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া মেয়ের কাছেই যাবে, কোনো বালক বা বৃদ্ধের কাছে নয়।

Loading

আলেকজান্দ্রিয়ার ব্যবচ্ছেদ শিল্পীদের গল্প

হিলোফিলাস যে দেহ ব্যবহার করতো তা আসতো আলেকজান্দ্রিয়ার রাজকারাগার থেকে। সেলসাসের বক্তব্য থেকে ধারণা পাওয়া যায়, হিলোফিলাস ও তার সহচর এরাসিসট্রাসেস অতোটা নির্দয় ছিলেন না। মেডিসিন নামের গ্রন্থে সেলসাস বলেন যে, জীবন অবস্থায় ব্যবচ্ছেদ নিষ্ঠুরতা এবং তা অপ্রয়োজনীয়।

Loading