নিরো: দ্য লাস্ট এমপেরর

রোম নগরী পুড়ছে। শিল্পীর চোখে- “দ্যা গ্রেট ফায়ার অফ রোম”। ঐ সময় রোমে ১,৭০০ ব্যক্তিগত গৃহ এবং ৪৭,০০০ ইনসুলা ছিল। ক্যাসিয়াস দিও বলেছেন যে, ঐ সময়ে সম্রাট নিরো মঞ্চের পোশাক পরিহিত অবস্থায় গ্রীক মহাকাব্য ইলাপারসিস থেকে গান গাচ্ছিলেন। এছাড়াও, টাসিটাসের মতে অগ্নিকাণ্ডের সময় নিরো ৩৫ মেইল দূরে অ্যান্টিয়ামে ছিলেন এবং লির বাদ্যযন্ত্র সহযোগে গান গাচ্ছিলেন। নগর পুড়ে যাবার খবরটিকে তাচ্ছিল্যের সাথে গুজব বলে উড়িয়ে দেন।

Loading

হাতুড়-কাস্তে-মনিব ও একটি দিবসের গল্প

“চিমনির মুখে শোনো সাইরেন শঙ্খ গান গায় হাতুড়ি ও কাস্তে তিল তিল মরণেও জীবন অসংখ্য জীবনকে চায় ভালোবাসতে।” -সুভাষ মুখোপাধ্যায় … আরো পড়ুন…

Loading

মসলার যুদ্ধের কাহিনী

এরপর পর্তুগিজরা হয়ে উঠলো সমুদ্রের একচ্ছত্র অধিপতি, তাদের বাধা দেয়ার মত কেউ রইলো না। কিন্তু তারা কালিকট দখল করতে পারলো না। ১৫০৯-১৫৯০ এই ৯০ বছরের দুর্দম প্রতিরোধের পর ১৫৯৯ সালে কালিকটের সাথে পর্তুগিজদের সন্ধি স্থাপিত হল। কিন্তু মসলার বাণিজ্যে একচেটিয়া অধিকার পেয়ে গেলো পর্তুগিজরা। দেড়শ’ বছর ধরে এই মসলার বাণিজ্য পর্তুগিজদের করায়ত্তে ছিল। সন্ধি সত্ত্বেও পর্তুগিজরা চুপচাপ বসে থাকেনি। গ্র‍্যান্ডমার্শাল অব পর্তুগালের নেতৃত্বে ‘ফ্লিট অব পর্তুগাল’ আর শাসনকর্তা অ্যালবুকার্কের নেতৃত্বে ‘ফ্লিট অব ইন্ডিয়া’ অতর্কিতে হামলা চালালো।

ছাপাখানার ইতিহাস

ছাপাখানা কী ভয়ানক ব্যাপার হতে পারে তা যদি তুমি দেখতে চাও তবে খুব বড় কাগজওয়ালাদের কাছে গিয়ে দেখ। সেখানে প্রেসের ঘরে ঢুকতেই মনে হবে যেন কানে তালা লেগে গেল। প্রেসের ভনভন শব্দে নিজের চেঁচানি নিজেই শুনতে পাবে না। কল এত তাড়াতাড়ি চলে যে,কখন কি করে ছাপা হচ্ছে কিছু বুঝবার জো নেই। এমন প্রেসও আছে, যাতে বারো পৃষ্ঠা খবরের কাগজ প্রতি ঘন্টায় এক লাখ করে ছাপা হয়। যদি প্রেসটার ভিতর ভাল করে তাকিয়ে দেখ, দেখবে একদিকে একটা লোহার ডান্ডার প্রায় ৪/৫ হাত চওড়া কাগজের ফিতে জড়ান-ফিতাটা লম্বায় হয়ত ২/৩ মাইল হবে। প্রেসের মধ্যে পরপর কতগুলো প্রকান্ড লোহার চোঙা ভয়ানক জোরে বনবন্ করে ঘুরছে-আর সেই সঙ্গে হুড়হুড় করে কাগজের ‘ফিতে’ টেনে নিয়ে,তার উপর ছেপে যাচ্ছে। মাইলকে মাইল কাগজ চোখের সামনে শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিলাতের একটা বড় খবরের কাগজ (Daily Mail) ছাপতে প্রতি সপ্তাহে ৩০০ মণ কালি আর দশ হাজার মাইল কাগজ খরচ হয়।

Loading

ফরাসী বিপ্লবের গল্প

তখন রাজা ষোলতম লুই ( Sixteenth Of His Name) রাজত্বে। ব্রিটিশদের সাথে দীর্ঘদিনের যুদ্ধ আর আমেরিকার বিপ্লবে সহযোগিতাসহ অন্যান্য কারণে অর্থনৈতিক মন্দার একটা তীব্র ছায়া তাড়া করে বেড়াচ্ছিল ফ্রান্সকে। পরিবর্তন হয়ে উঠেছিল জরুরি। এ ব্যাপারে রাজা পরিকল্পনা করলেন, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও সচিব হিসেবে নিয়ে এলেন জেকস নেকারকে (Jeques Necker)। তিনি করধার্য সম্বলিত বিষয়াবলী পুনর্বিবেচনা এবং পুনর্গঠন করলেন।

Loading

ঠগী

ঠগীরা সুযোগ মত নিঃসঙ্গ পথচারীদের ও হত্যা করত। হত্যার পর লাশগুলো গোলাকৃতি কবরে কবর দেয়া হত। সেই কবরদেয়ার প্রক্রিয়া ও রীতিমতো বিশাল নিয়ম অনুসারে হত। সময় পেলে অন্য কোনদিন লিখব। ওহ আর একটা কথা না বললেই নয়, এই ঠগী দের ধ্বংস করেছিল স্লীমান নামক এক ইংরেজ।তিনি শুধু ঠগীদের এই ভয়াবহ পেশা থেকে সরিয়েই আনেন নি, তাদের পুনর্বাসন ও করেছেন। ঠগীদের হাতে নির্মিত একটা কার্পেট এখনো ইংল্যান্ড এর রাজপ্রাসাদে আছে। ঠগীদের ইংরেজ রা বলত Thuggee, এখান থেকেই ইংরেজি শব্দ Thug এর উৎপত্তি। এছাড়া Confession of a Thuggee নামক একটি বিখ্যাত উপন্যাস আছে, উপন্যাস টা খুবই সুখপাঠ্য, তবে বাস্তবতা বিবর্জিত ও লেখকের কল্পনা প্রসূত। সারা ভারত জুড়ে ছড়িয়ে ছিল ঠগীরা, ব্যতিক্রম ছিল না বাংলাও। আরও ভাল করে বলতে গেলে, কলকাতার কালীঘাট ছিল সমস্ত ঠগীদের তীর্থক্ষেত্র। লুটের মাল থেকে কিছুটা অংশ সব সময় সরিয়ে রাখা হত কালীঘাটে নিবেদনের উদ্দেশ্যে। এছাড়া বাংলার ঠগীরা ছিল বাকিদের থেকে আলাদা।

Loading