সূর্যডুবি

“যে জীবন ফড়িংয়ের দোয়েলের – মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা”
– জীবনানন্দ দাশ

 

স্বচ্ছ শখের ফটোগ্রাফার। পড়াশোনা করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই সুবাদে বসবাস মেঘনার খুব কাছে। মেঘনা পাড়ের জীবন-যাত্রা আর সন্ধ্যা নামার দৃশ্য সে ধারণ করেছে ক্যানন ৭৬০ডিতে।

 

[huge_it_slider id=”3″]

 

Loading

নিরো: দ্য লাস্ট এমপেরর

রোম নগরী পুড়ছে। শিল্পীর চোখে- “দ্যা গ্রেট ফায়ার অফ রোম”। ঐ সময় রোমে ১,৭০০ ব্যক্তিগত গৃহ এবং ৪৭,০০০ ইনসুলা ছিল। ক্যাসিয়াস দিও বলেছেন যে, ঐ সময়ে সম্রাট নিরো মঞ্চের পোশাক পরিহিত অবস্থায় গ্রীক মহাকাব্য ইলাপারসিস থেকে গান গাচ্ছিলেন। এছাড়াও, টাসিটাসের মতে অগ্নিকাণ্ডের সময় নিরো ৩৫ মেইল দূরে অ্যান্টিয়ামে ছিলেন এবং লির বাদ্যযন্ত্র সহযোগে গান গাচ্ছিলেন। নগর পুড়ে যাবার খবরটিকে তাচ্ছিল্যের সাথে গুজব বলে উড়িয়ে দেন।

Loading

CRISPR: প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হতে জিন এডিটিং

CRISPR শব্দটির পূর্ণরূপ করলে দাঁড়ায় “Clustered Regularly Interspaced Short Palindromic Repeats” যা মূলত নির্দেশ করে ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে। ব্যাকটেরিয়ার এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন ফ্রান্সিস্কো মোজিকা ১৯৯৩ সালের দিকে। তবে CRISPR তখন একটা অনুকল্প ছিল মাত্র যেটাকে পরবর্তীতে ফিলিপ হোরভাথ এবং তার দল ২০০৭ সালে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেন। আর CRISPR কে জিন এডিটিং টুল হিসাবে ব্যবহার করার পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয় ২০১৩ সালে ঝাং ল্যাবরেটরিতে।

Loading

সাংস্কৃতিক অবকাঠামো

যদিও, ২০০ বছরের কলোনিয়াল জার্নি, বিশ্বায়ন (পশ্চিমাদের নয়া পলিসি) , আকাশ সংস্কৃতি, তথ্যের অবাধ প্রবাহ সহ নানা নিয়ামকের কারণে আমরা এখন আর ফিরে যেতে পারবনা আমাদের পিছনে। তাছাড়া, আমরা আমাদের বিদ্যমান টুলস নিয়ে কখনো মেরামত করতে পারবনা আমাদের ইতিহাস, আমরা খুব সহজে বাধা দিতে পারবনা সংস্কৃতির আগ্রাসন, প্রবাহ(প্রবাহকে বাধা দেয়া টেকনিকালি পসিবল না); তাছাড়া আমরা এও জানি সংস্কৃতি ধ্রুব না- এটা পরিবর্তনশীল – কাজেই আমরা কিভাবে রুখব cultural ethnocentrism এর প্রভাব? খুব সত্যকথা বলতে গেলে, এর কোন তাত্ক্ষণিক সমাধান নেই।

Loading

কবিতায় আমি কারো দায়বদ্ধ নই

ভাই, আমি কবিতা লিখে মানসিক আনন্দ পাই। যে ইলেমেন্ট গুলা, যে কল্পনা গুলা আমাকে নক করে আমি তাদের সাথে কথা বলে আনন্দ পাই। আমার কবিতা কেমন হলো সেই সম্পর্কে আমার তেমন মাথাব্যথা নেই। কবিতা টাইট হইলো কিনা না হইলো সেই সম্পর্কেও আমি বিন্দুমাত্র ভাবিনা। কারো পছন্দ হলে ছাপাবেন, না হলে নাই। আমি সময়ের টিপিকাল উপাদানজাত কবি হয়ে মুখবইয়ে কারো পা চাটাচাটি করতে রাজী না, তাছাড়া রুচিও হয়না ঐ সবের। সত্যি কথা বলতে কি, কবিতার ক্ষেত্রে আমার কোন দায়বদ্ধতা নেই। কারো রুচির প্রতিও আমি দায়বদ্ধ নই।

Loading

এভারেস্ট

অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে ১৮৬৫ সালে ‘রয়েল জিওগ্রাফিক সোসাইটি’ আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের প্রাক্তন জরিপ পরিচালক জর্জ এভারেস্টের নামানুসারে এ শৃঙ্গের নামকরণ করে ‘মাউন্ট এভারেস্ট’। এরপর থেকে Peak- XV হয়ে গেলো মাউন্ট এভারেস্ট! তবে নেপালে স্থানীয়ভাবে একে ‘সাগরমাথা; বা ‘আকাশের দেবী’ এবং তিব্বতের মানুষ একে ‘চোমোলুংমা’ বা ‘মহাবিশ্বের দেবী মা’ বলে ডাকে।

Loading

অবেলার শঙ্খধ্বণি

শির দশকে কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠে যে ক’জন কবি বাঙালি শ্রোতার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেন তাদের মধ্যে একজন রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর জন্ম গ্রহণ করা রুদ্র আজও পরিচিত “প্রতিবাদী রোমান্টিক ” কবি হিসেবে।

Loading

২৫শে বৈশাখের গল্প!

“ছোট প্রাণ, ছোট ব্যথা ছোট ছোট দুঃখকথা. নিতান্তই সহজ সরল,. সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি. তারি দু’চারিটি অশ্রুজল । নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘন ঘটা. নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ । অন্তরে অতৃপ্তি রবে, সাঙ্গ করি মনে হবে. শেষ হয়ে হইল না শেষ ।”

Loading

আকাশের ছাদের বসে থাকা পাখির পালকের নাম কবিতা

কবিতার পোশাক বলা যেতে পারে তার ছন্দকে । ছন্দের সাজসজ্জায় দামি পোশাকে আলোড়িত হতে থাকে কবিতার দেহ । একটা সুন্দর পোশাক খুঁজে বের করা যেমন সহজ কর্ম নয় তেমনি রাজসিক ছন্দের জন্ম দেওয়ায় জন্যে কবিকে গিলতে হয় আগুনের ধৈর্য । আর তারপর ছড়িয়ে দিতে হয় খুব গরমের মাঝে বাচ্চাদের জিভে লেগে থাকা আইসক্রিমের আবেশ । পোশাকবিহীন মানুষের কল্পনা যেমন কষ্টকর , তেমনি ছন্দহীনতা কবির মহাপাপ । ছন্দহীন কবিতা এক খোঁড়া-নগ্ন দেবতা । যার পায়ে সাপের আদর জড়িয়ে থাকে ।

Loading

মহাকাশে ওরা!

৩ নভেম্বর, ১৯৫৭ সালে মহাকাশযান (স্পুটনিক-২) করে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল লাইকা (স্ত্রী-কুকুর)। স্পুটনিক-২ এর যাত্রা শুরুর ৯ দিন আগে মস্কোর রাস্তা থেকে সোভিয়েতরা লাইকাকে সংগ্রহ করেন। তারা লাইকাকেই বেছে নিয়ে মূলত দুইটি কারনে। লাইকা ছিল আকারে ছোট এবং শান্ত প্রকৃতির।
মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণের পাঁচ মাস পর, পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের সময় (এপ্রিল, ১৯৫৮) বায়ুমণ্ডলেই বিধ্বস্ত হয়ে যায় স্পুটনিক-২। তবে তারও আগে মহাকাশযানটির ভেতর মারা যায় লাইকা। অতিরিক্ত তাপ আর আতঙ্কের জন্য মারা যায় লাইকা।

Loading