সত্যবাদী মামাদ

আফ্রিকার এক রাজ্যে মামাদ নামে একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কখনও মিথ্যা বলতেন না। রাজ্যের সব মানুষ তাকে খুব জানতো। সে রাজ্যের রাজা যখন মামাদের সম্পর্কে জানলেন তখনই তাঁর সেপাইদের আদেশ দিলেন তাঁকে নিয়ে আ্সার জন্য।

Loading

টুনটুনি ও রাজা

সভার লোক চমকে উঠল, আর টুনটুনি সেই ঢেকুরের সঙ্গে বেরিয়ে এসে উড়ে পালালো।
রাজা বললেন, ‘গেল, গেল! ধর্‌ ধর্‌!’ অমনি দুশো লোক ছুটে গিয়ে আবার বেচারাকে ধরে আনলো।
তারপর আবার জল নিয়ে এল, আর সিপাই এসে তলোয়ার নিয়ে রাজা মশায়ের কাছে দাঁড়াল, টুনটুনি বেরুলেই তাকে দু টুকরো করে ফেলবে।
এবার টুনটুনিকে গিলেই রাজামশাই দুই হাতে মুখ চেপে বসে থাকলেন, যাতে টুনটুনি আর বেরুতে না পারে। সে বেচারা পেটের ভিতরে গিয়ে ভয়ানক ছটফট করতে লাগল!

Loading

বাঘের রাঁধুনী

বাঘের রাঁধুনী ।। এক বাঘের বাঘিনী মরে গিয়েছিল। মরবার সময় বাঘিনী বলে গিয়েছিল, ‘আমার দুটো ছানা রইল, তাদের তুমি দেখো।বাঘিনী মরে গেলে বাঘ বললে, ‘আমি কি করে বা ছানাদের দেখব, কি করে বা ঘরকন্না করব। তা শুনে অন্য বাঘেরা বললে, ‘আবার একটা বিয়ে কর, তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে।’ বাঘও ভাবলে, ‘একটা বিয়ে করলে হয়। কিন্ত আর বাঘিনী বিয়ে করব না, তারা রাঁধতে-টাধতে জানে না। এবার বিয়ে করব মানুষের মেয়ে, ‘শুনেছি তারা খুব রাঁধতে পারে।’ এই মনে করে সে মেয়ে খুঁজতে গ্রামে গেল। সেখানে এক গৃহস্থের একটি ছেলে আর একটি মেয়ে ছিল। বাঘ সেই মেয়েটিকে ধরে এনে তার, তার ছানা দুটোকে বললে, ‘দেখ রে, এই তোদের মা।’ছানা দুটো বললে, ‘লেজ নেই, দাঁত নেই, রোঁয়া নেই, ডোরা নেই- ও কেন আমাদের মা হবে! ওটাকে মেরে দাও, আমরা খাই!’ বাঘ বললে, ‘খবরদার! অমন কথা বলবি তো তোদের ছিঁড়ে টুকরো-টুকরো করব!’ তাতে ছানা দুটো চুপ করে গেল। কিন্ত সেই মেয়েটিকে তারা একেবারেই দেখতে পারত না। আর কথায়-কথায় খালি বলত, ‘আর একটু বড় হলেই আমাদের গায়ে জোর হবে, তখন তোর ঘাড় ভেঙ্গে তোকে খাব!’

Loading