সাংস্কৃতিক অবকাঠামো

যদিও, ২০০ বছরের কলোনিয়াল জার্নি, বিশ্বায়ন (পশ্চিমাদের নয়া পলিসি) , আকাশ সংস্কৃতি, তথ্যের অবাধ প্রবাহ সহ নানা নিয়ামকের কারণে আমরা এখন আর ফিরে যেতে পারবনা আমাদের পিছনে। তাছাড়া, আমরা আমাদের বিদ্যমান টুলস নিয়ে কখনো মেরামত করতে পারবনা আমাদের ইতিহাস, আমরা খুব সহজে বাধা দিতে পারবনা সংস্কৃতির আগ্রাসন, প্রবাহ(প্রবাহকে বাধা দেয়া টেকনিকালি পসিবল না); তাছাড়া আমরা এও জানি সংস্কৃতি ধ্রুব না- এটা পরিবর্তনশীল – কাজেই আমরা কিভাবে রুখব cultural ethnocentrism এর প্রভাব? খুব সত্যকথা বলতে গেলে, এর কোন তাত্ক্ষণিক সমাধান নেই।

Loading

কবিতায় আমি কারো দায়বদ্ধ নই

ভাই, আমি কবিতা লিখে মানসিক আনন্দ পাই। যে ইলেমেন্ট গুলা, যে কল্পনা গুলা আমাকে নক করে আমি তাদের সাথে কথা বলে আনন্দ পাই। আমার কবিতা কেমন হলো সেই সম্পর্কে আমার তেমন মাথাব্যথা নেই। কবিতা টাইট হইলো কিনা না হইলো সেই সম্পর্কেও আমি বিন্দুমাত্র ভাবিনা। কারো পছন্দ হলে ছাপাবেন, না হলে নাই। আমি সময়ের টিপিকাল উপাদানজাত কবি হয়ে মুখবইয়ে কারো পা চাটাচাটি করতে রাজী না, তাছাড়া রুচিও হয়না ঐ সবের। সত্যি কথা বলতে কি, কবিতার ক্ষেত্রে আমার কোন দায়বদ্ধতা নেই। কারো রুচির প্রতিও আমি দায়বদ্ধ নই।

Loading

শূন্য বৃত্ত

আমি ভাবি, তোমার কথা অনেক মনে পড়ছে, এটা বলব। তুমিও ভাবো হয়তো। কিন্তু বলা আর হয় না। কয়েক মুহূর্ত চুপ থাকার পর -“আচ্ছা বাবা, রাখি ” -এইটুকুতেই আটকে যায় আমাদের রোজকার কথাবার্তা। আমি বেশিরভাগ সময়েই যেটা ভাবি, শেষ পর্যন্ত সেটা করতে পারিনা। যেমন, বাবা যখন আমায় দেখতে আসে, তখনও ভাবি অনেক কিছু বলব! বলা আর হয় না। চলে যাওয়ার সময়ও ” সাবধানে যেয়ো”-এটুকু ছাড়া আর কিছু বলতে পারিনা। কিছুই ঠিকঠাক হয় না, সব কেমন এলোমেলো হয়ে যায়!

বেঁচে থেকো মেঘ রোদ আর ঘাসফুলের জন্য

জোনাথন সুইফটের খুব সুন্দর একটা উক্তি আছে – May you live all the days of your life. তাই বাঁচার মত করে বাঁচো। খুব ছোট ছোট জিনিসেও মুগ্ধ হও; তীব্রভাবে মুগ্ধ হও। ছোট্ট একটা ঘাসফুলের জন্যে বাঁচো,একফোঁটা শিশিরের জন্যে বাঁচো, এক পশলা বৃষ্টির পর মেঘ-রোদ্দুরের খেলা আর বৃষ্টি – ধোয়া পাতার সতেজ সবুজ রং দেখার জন্যে বাঁচো- বাঁচো ছোট্ট অথচ অদ্ভুত সুন্দর একটা স্বপ্নের জন্যে।

Loading