আত্নশুদ্ধি

বেশ জোরেশোরে একটা বাতাসের ঝাপটা জানালায় লেগেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো।আমি ক্লাসে বসে আছি,১০১নাম্বার কোর্সের ক্লাস হচ্ছে।যে স্যার ক্লাস নিচ্ছেন … আরো পড়ুন…

ভ্রান্তি

বিনীতার ধারণা সে আস্তে আস্তে পাগল হয়ে যাচ্ছে৷ এমন অনেক কিছুই সে দেখতে পাচ্ছে, যার কোন অস্তিত্ব আসলে নেই৷ যেমন বিনীতার সামনে এখন যে ছেলেটি বসে আছে, যেমন বিনীতার সামনে এখন যে ছেলেটি বসে আছে, তার এখানে মোটেও বসে থাকার কথা নয়৷

Loading

মেজেন্ডা রঙের পরিচয়

গাড়ি এসে থামল বাসার সামনে। তিনি গাড়ি থেকে নামলেন। লিফটে উঠার আগে দারোয়ান কে জিজ্ঞেস করলেন তার ছেলে কি বাইরে নাকি বাসায়ই আছে। উত্তর পেলেন তার ছেলে বাসায়ই আছে। এখন তিনি তার ফ্ল্যাটের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনবার কলিং বেল চেপেছেন, পাখি ডাকার শব্দ হচ্ছে। কলিং বেলের এই টিঊন টা তার খুব পছন্দ। আগে তাদের কলিং বেলের টিউন ছিল অন্যরকম। ঢং ঢং আওয়াজ করত। তিনিই নতুন টিউনের কলিং বেল লাগানোর ব্যাবস্থা করেছেন। আবার বেল চাপা হল।

Loading

হলুদ প্রশান্তির দিন

তার আঙুলের ঘ্রাণ, শাড়ির আঁচলের মিষ্টি শব্দ, রিনরিনে হাসির দৃশ্য আর আমাকে চুমু খাবার মুহূর্ত সবকিছু আমার মুখস্ত ছিল। মা কোথাও বাইরে গেলে প্রথমে চুমু খেতেন আমাকে, তারপর বাবাকে। আমার সেই মা, যাকে আমি কোনো ঈশ্বরী ভাবতাম, তিনি আমাকে প্রাণভরে সেদিন চুমু খেলেন একবার, তারপর কয়েকবার।

Loading

ছায়া কাহিনী

আমি ভয়ে ভয়ে পেছনে যাচ্ছি। তারা হিংস্র জন্তুর মতো আমার দিকে এগুতে লাগল। যেকোনো সময় অসহায় আমাকে তীব্র আঘাত করবে তারা। আমি নিরুপায় হয় চোখ বন্ধ করতে গেলাম। ঠিক তখন কি যেন একটা ঘটে গেল! যেমন ঘটেছিলো আমার ছায়াটা ছেড়ে চলে যাওয়ার সময়। হুটহাট করে ক্ষুদ্র ঝড়ের মতন করে কালো অবয়বটা ঘরে প্রবেশ করে। বিশাল হাতে আমাকে ঘিরে দাঁড়ায়। ছদ্মবেশী ছায়াগুলো অপ্রতিভ হয়ে ওঠে। তাদের নিজ গোত্রের কাউকে তারা আঘাত করবে না।

Loading

রক্তাশ্রু

আজ আকাশটা ভারী করে খুব রক্তের বৃষ্টি ঝরছে। ঠিক চোদ্দদিন পর বৃষ্টি হচ্ছে। সে আমার সব রক্ত প্রায় খেয়ে শেষ করে এনেছে। আমি এখন খুব জোরে এক হেঁচকা টানে সময়ের সেই লাল বেপরোয়া ঘুড়িটার লেজ ছিঁড়ে রক্ত নদীতে ভাসব। আমার কাগজের নৌকা দিয়ে। আমার কাঁচের জানালার ওপাশ থেকে লালমতন পাখিটা দেখছে আমার ঘর। কিছু টুকরো টুকরো ছড়ানো ছিটানো কাগজ। অসংখ্য কাগজের তৈরি নৌকা। আমি আর আমার ফুলতোলা চাদরে তার লাশ। আচ্ছা আমি কি একজন খুনি?

Loading

আলোকিত আঁধারে

আমাদের বৈঠকখানা ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল । এই জায়গা অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে । তখন শুরু হল আমার কান্নাকাটি । সবাই আমাকে এই বলে সান্ত্বনা দিল যে আয়নাটা আমাদের ঘরে নিয়ে যাওয়া হবে । কিন্তু তবুও আমার জানি কেমন একটা অনুভূতি হয়েছিল । মনে হচ্ছিল যেন কিছু হারিয়ে গেছে বা যাচ্ছে । কিন্তু তাকে ধরে রাখার ক্ষমতা আমার ছিল না ।

Loading