আকাশের ছাদের বসে থাকা পাখির পালকের নাম কবিতা

কবিতার পোশাক বলা যেতে পারে তার ছন্দকে । ছন্দের সাজসজ্জায় দামি পোশাকে আলোড়িত হতে থাকে কবিতার দেহ । একটা সুন্দর পোশাক খুঁজে বের করা যেমন সহজ কর্ম নয় তেমনি রাজসিক ছন্দের জন্ম দেওয়ায় জন্যে কবিকে গিলতে হয় আগুনের ধৈর্য । আর তারপর ছড়িয়ে দিতে হয় খুব গরমের মাঝে বাচ্চাদের জিভে লেগে থাকা আইসক্রিমের আবেশ । পোশাকবিহীন মানুষের কল্পনা যেমন কষ্টকর , তেমনি ছন্দহীনতা কবির মহাপাপ । ছন্দহীন কবিতা এক খোঁড়া-নগ্ন দেবতা । যার পায়ে সাপের আদর জড়িয়ে থাকে ।

Loading

হলুদ প্রশান্তির দিন

তার আঙুলের ঘ্রাণ, শাড়ির আঁচলের মিষ্টি শব্দ, রিনরিনে হাসির দৃশ্য আর আমাকে চুমু খাবার মুহূর্ত সবকিছু আমার মুখস্ত ছিল। মা কোথাও বাইরে গেলে প্রথমে চুমু খেতেন আমাকে, তারপর বাবাকে। আমার সেই মা, যাকে আমি কোনো ঈশ্বরী ভাবতাম, তিনি আমাকে প্রাণভরে সেদিন চুমু খেলেন একবার, তারপর কয়েকবার।

Loading

ছায়া কাহিনী

আমি ভয়ে ভয়ে পেছনে যাচ্ছি। তারা হিংস্র জন্তুর মতো আমার দিকে এগুতে লাগল। যেকোনো সময় অসহায় আমাকে তীব্র আঘাত করবে তারা। আমি নিরুপায় হয় চোখ বন্ধ করতে গেলাম। ঠিক তখন কি যেন একটা ঘটে গেল! যেমন ঘটেছিলো আমার ছায়াটা ছেড়ে চলে যাওয়ার সময়। হুটহাট করে ক্ষুদ্র ঝড়ের মতন করে কালো অবয়বটা ঘরে প্রবেশ করে। বিশাল হাতে আমাকে ঘিরে দাঁড়ায়। ছদ্মবেশী ছায়াগুলো অপ্রতিভ হয়ে ওঠে। তাদের নিজ গোত্রের কাউকে তারা আঘাত করবে না।

Loading

রক্তাশ্রু

আজ আকাশটা ভারী করে খুব রক্তের বৃষ্টি ঝরছে। ঠিক চোদ্দদিন পর বৃষ্টি হচ্ছে। সে আমার সব রক্ত প্রায় খেয়ে শেষ করে এনেছে। আমি এখন খুব জোরে এক হেঁচকা টানে সময়ের সেই লাল বেপরোয়া ঘুড়িটার লেজ ছিঁড়ে রক্ত নদীতে ভাসব। আমার কাগজের নৌকা দিয়ে। আমার কাঁচের জানালার ওপাশ থেকে লালমতন পাখিটা দেখছে আমার ঘর। কিছু টুকরো টুকরো ছড়ানো ছিটানো কাগজ। অসংখ্য কাগজের তৈরি নৌকা। আমি আর আমার ফুলতোলা চাদরে তার লাশ। আচ্ছা আমি কি একজন খুনি?

Loading

বিবর্তন ও ত্বক

একই সাথে প্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর এই রশ্মি কে বশে আনার জন্য প্রকৃতি এক আশীর্বাদ দিল মানবজাতিকে । সেই আশীর্বাদের নাম ‘মেলানিন’। এই মেলানিন নামক পদার্থ সুরক্ষা দেয় UVB এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে। এতে করে অতি বেগুনী রশ্মির সংস্পর্শে এসেও দারুন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় মানুষ আর সেই সাথে লুফে নেয় এর প্রয়োজনীয় ও উপকারী দিক। তাই বিবর্তনের স্বার্থে দক্ষ কর্মীর মত কাজ করে মেলানিন। আরেকটি কথা জানিয়ে রাখি, এই মেলানিন নামক রঞ্জক পদার্থের কারনেই আমাদের গায়ের রঙ গাঢ় অর্থাৎ কালো বা কালচে হয়।

Loading